নিজস্ব প্রতিবেদক: জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির মাহফিল থেকে ৮ নারীসহ মোট ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার লালাপাড়ায় আয়োজিত মাহফিল চলাকালে চুরির অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. রইস উদ্দীন রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাবালুন নুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার লালাপাড়ার একটি আম বাগানে বড় পরিসরে তাফসির মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই মাহফিলে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়, যার মধ্যে পুরুষ ও নারীরা সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের ধর্মীয় সমাবেশে বহু মানুষের সমাগম ছিল এবং সবার মধ্যে এক অনন্য তাজ্য অনুভূতি বিরাজ করছিল।
মাহফিলের সময় স্বেচ্ছাসেবকরা সন্দেহভাজন ৮ নারীকে আটক করেন, যারা অভিযোগ অনুযায়ী, অন্যান্য নারীদের গহনা এবং মূল্যবান সামগ্রী চুরি করছিলেন। তাদের উপর নজরদারি শুরু করার পর, হাতেনাতে ধরা পড়েন। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এই ধরনের বিশাল পরিসরে আয়োজিত ধর্মীয় মাহফিলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়োজকরা জানায়, তারা প্রতিটি সেক্টরে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেছেন, তবে এত বিশাল জনসমাগমের মধ্যে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, যা এড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। আয়োজকরা ভবিষ্যতে আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন, যাতে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
মাহফিল চলাকালে কিছু অসাধু ব্যক্তি ভিড়ের মধ্যে মানুষের মোবাইল ফোন চুরি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে ৫১টি মোবাইল ফোন হারানোর তথ্য পাওয়া গেছে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় ১৩টি চুরির অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তবে পুলিশ জানায়, তারা তদন্ত শুরু করেছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি মো. রইস উদ্দীন জানান, রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ থানায় দাখিল হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধর্মীয় মাহফিলের মতো পবিত্র অনুষ্ঠানে চুরি এবং অন্য কোনো ধরনের অপরাধ হওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আয়োজকরা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করলে এই ধরনের অপরাধেরোধ সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভবিষ্যতে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ জানায়, তারা পুরো ঘটনাটির তদন্ত করছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে সতর্ক থাকবে।
এই ধরনের বড় সমাবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিকভাবে না নেওয়া হলে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তবে আয়োজকরা এই ঘটনার পর তাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা না হয়।