শিরোনাম :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ ঘোষণা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা আসছে আজ দুই ম্যাচ হেরেও সেমিফাইনালের স্বপ্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় কামনা করছে পাকিস্তান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পরিমাণে পরিবর্তন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে মিরাজ! মুশফিকসহ ৩ পরিবর্তন হতে পারে পাকিস্তানের হার, সেমিফাইনালে বাংলাদেশের পথ এখন পানি মত সহজ সৌদি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার আজকের বিনিময় হার আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট আরো কমে গেল ডলারের বিনিময় রেট এবার এল সৌদি প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ

শবে বরাতের বিশেষ আমল: ইসলামের দৃষ্টিতে সঠিক নিয়ম ও বিধি

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

শবে বরাত, যা ইসলামিক বরাত রাত হিসেবে পরিচিত, মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি রাত। এই রাতে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত (ক্ষমা) এবং মুক্তির বিশেষ দান বর্ষিত হয়। শবে বরাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং রোজা রাখা।

১৪ শাবান দিবাগত রাত (শবে বরাত) ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর পাশাপাশি পরের দিন রোজা রাখা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পনেরো শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) আসলে তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখো।” (ইবনে মাজা, হাদিস: ১৩৮৪)

এছাড়া, শবে বরাতে রোজা রাখার সময়, আইয়ামে বিজের রোজা (১৩, ১৪, ১৫ শাবান) একসঙ্গে রাখা উত্তম বলে পরামর্শ দিয়েছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হজরত আবু যার রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে তিনি বলেন, “হে আবু যার! যখন তুমি মাসের মধ্যে তিন দিন রোজা রাখবে, তখন তুমি ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখে রোজা রাখবে।” (তিরমিজি, নাসাঈ, মিশকাত)

এই রাতে ইবাদত ও আমল করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাতটি পূর্ণ সঙ্গীততা ও ধ্যানের মাধ্যমে কাটানো উচিত। এ সময় বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইস্তিগফার এবং নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের জন্য এবং সারা মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করা উচিত। বিশেষভাবে দরিদ্রদের সাহায্য করা, জাকাত ও দান-সদকা প্রদান করে গরিব-অসহায়দের সাহায্য করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

১৪ শাবানের দিবাগত রাতের রাতজাগরণ, দোয়া ও ইবাদত সুন্নত আমল হিসেবে বিবেচিত। রাতে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা এবং তার রহমত ও মাগফিরাতের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা উচিত।

নফল নামাজের কথা বললে, শবে বরাতে নফল নামাজ পড়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ, তবে এ রাতে নামাজ পড়ার জন্য আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত নির্ধারণ করা উচিত নয়। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, সেভাবেই শবে বরাতেও নামাজ পড়তে হবে। বিশেষ কোনো নিয়ত বা নিয়ম নির্ধারণ করা বিদয়াত (নতুন উদ্ভাবিত) হবে, কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শবে বরাতে নামাজ পড়ার জন্য কোনো বিশেষ নিয়ম বা নিয়ত নির্ধারণ করেননি।

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, ইসলামিক শিক্ষা অনুযায়ী কোনো নতুন আমল বা নিয়ম উদ্ভাবন করা না হয়, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশের বিরুদ্ধ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ। সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হলো, (দীনের মধ্যে) নব-উদ্ভাবিত বিষয়। (দীনের মধ্যে) নব-উদ্ভাবিত সবকিছুই বিদআত, আর প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা, আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।” (মুসলিম, হাদিস: ১৫৩৫; নাসায়ী, হাদিস: ১৫৬০)

এই হাদিসের মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, ইসলামে বিদয়াত (নতুন উদ্ভাবিত বিষয়) প্রবর্তন করা নিষিদ্ধ, এবং যে কেউ এমন কিছু করবে, তা ইসলামিক শিষ্টাচার ও হাদিসের বিপরীত। সুতরাং, শবে বরাতে যেসব আমল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীরা পালন করেছেন, শুধুমাত্র সেগুলোর ওপর আমল করা উচিত।

অন্যরা যা পছন্দ করছে
© All rights reserved © 2024 bdnews24us.com