শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের নিম্নসীমা ফ্লোর প্রাইস আরোপ সত্ত্বেও ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম একমাসে ৬৭ শতাংশ বেড়ে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে পৌঁছেছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসলামী ব্যাংক ‘টপ গেইনার’ তালিকার শীর্ষে ছিল। এদিন ব্যাংকটির শেয়ারের দাম ৯.৯২ শতাংশ বেড়ে ৫৪.৩০ টাকা হয়েছে।
রোববার ব্যাংকটির মোট ৩১.১০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মূল্য ১৬.২৯ কোটি টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১২ সালের এপ্রিলে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য ৫০ টাকার ওপরে ছিল।
গত মাসে এর বাজার মূলধন ৩,৪৯৪ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮,৭৪২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এস আলম মুক্ত হওয়ার পর দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংকটির শেয়ারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এস আলম গ্রুপের মনোনীত পরিচালকদের ব্যাংকের পর্ষদ থেকে অপসারণ করে নতুন বোর্ড গঠন করেছে।
এদিকে, ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদে পরিচালক হওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক গ্রুপ ব্যাংকটির শেয়ার কিনছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাই ব্যাংকের শেয়ারের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা সত্ত্বেও এর শেয়ারের দাম বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এস আলম গ্রুপ। এ সময় ব্যাংকটির পর্ষদ সদস্য ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
ব্যাংক দখলের পর সেখান থেকে নামে-বেনামে বিপুল অঙ্কের ঋণ উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে এস আলমের নামে। বর্তমানে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সিআইডি ও দুদক এস আলম গ্রুপ ও এর চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো তদন্ত করছে। খবর টিবিএস।
সূত্র জানায়, গত ২৭ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকাবস্থায় গত সাড়ে সাত বছরে ব্যাংক থেকে নেওয়া সব ঋণ পুনঃনিরীক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।